মালয়শিয়া ই-ভিসা || Malaysia e-Visa Bangladesh
কিভাবে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার ই-ভিসার জন্য আবেদন করবেন
মালয়েশিয়া ভ্রমণে ইচ্ছুক বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ই-ভিসার প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং দ্রুত। আপনাকে যেসব ধাপ অনুসরণ করতে হবে এবং যেসব ডকুমেন্ট দরকার হবে, তা এখানে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
ডকুমেন্ট চেকলিস্ট:
১. এনওসি (NOC): – অফিস বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (NOC)।
২. কভার লেটার: – আপনার পরিচয়, পেশা, ভ্রমণের উদ্দেশ্য, এবং সময়কাল উল্লেখ করে লিখুন।
৩. হোটেল বুকিং কপি: – বুকিং ডটকম বা অ্যাগোডা থেকে অগ্রিম বুকিং করুন। ‘বুক উইথআউট ক্রেডিট কার্ড’ ফিচার ব্যবহার করে নন-পেইড বুকিং নিশ্চিত করুন।
৪. ফ্লাইট বুকিং কপি: – শেয়ারট্রিপ বা গো জায়ান থেকে রিজার্ভড ফ্লাইট টিকিট। এটি নন-পেইড টিকিট হলেও চলবে।
৫. ব্যাংক স্টেটমেন্ট (Solvency সহ): – লাস্ট ছয় মাসের স্টেটমেন্ট যেখানে ন্যূনতম ব্যালেন্স ৮০,০০০ টাকা বা তার বেশি। ব্যাংক স্টেটমেন্টের সাথে সলভেন্সি সার্টিফিকেট থাকলে সুবিধা হয়।
৬. ছবি: – ৩৫x৫০ মিমি মাপের ছবি; রেজোলিউশন ৪১৩x৫৯১। ছবির মান নিশ্চিত করুন।
৭. পাসপোর্ট এবং পাসপোর্ট ইনফরমেশন পৃষ্ঠা কপি: – স্পষ্ট এবং পাঠযোগ্য স্ক্যান দিন।
৮. ভ্রমণের পূর্বের ইতিহাস / অন্যান্য দেশের ভিসা: – সকল ভিসা এবং ডিপারচার/অ্যারাইভাল স্ট্যাম্পের পিডিএফ তৈরি করুন (২ এমবি এর কম আকারের)।
প্রথম ধাপ: প্রস্তুতি নিন
প্রথমেই ভিজিট করুন: Malaysia Visa Requirements for Foreigners
ওয়েবসাইট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে আপনার ডকুমেন্টের তালিকা মিলিয়ে নিন। এই ওয়েবসাইটে মালয়েশিয়ার ভিসার জন্য আপডেটেড নীতিমালা পাওয়া যাবে।
ধাপ ২: ভিসার জন্য আবেদন
১. মালয়েশিয়ার ই-ভিসা পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করুন: Malaysia eVisa Portal
২. সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসার জন্য আবেদন করুন। – নতুন আবেদনকারীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার চেয়ে সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা বেশি উপযুক্ত।
৩. আপনার ইমেইল ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন এবং লগ ইন করুন।
ধাপ ৩: ডকুমেন্ট আপলোড করুন
প্রয়োজনীয় সমস্ত ডকুমেন্টের পিডিএফ বা ছবি স্ক্যান করুন এবং প্রতিটি ফাইলের আকার ২ এমবি এর মধ্যে রাখুন।
- ছবি ও পাসপোর্ট আপলোড করার সময় নির্ধারিত মাপ মেনে চলুন।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং পূর্বের ভ্রমণ ইতিহাস একটি সঠিক এবং কম্প্রেসড ফরম্যাটে আপলোড করুন। SmallPDF বা iLovePDF ব্যবহার করে ফাইল আকার কমাতে পারেন।
ধাপ ৪: ফি প্রদান এবং সাবমিশন
১. আবেদন ফি: ১২৬ রিঙ্গিত। এটি আপনার ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করতে পারবেন।
২. সব তথ্য যাচাই করুন এবং সাবমিট বাটন ক্লিক করুন।
ধাপ ৫: ভিসা প্রসেসিং এবং রিসিভ করুন
- সব কিছু ঠিক থাকলে ১ কার্যদিবসে আপনার ভিসা অনুমোদিত হবে।
- ইমেইলে ডাউনলোড লিঙ্ক পাবেন বা পোর্টালে লগ ইন করে ডাউনলোড করতে পারবেন।
বিশেষ পরামর্শ:
১. স্পন্সরের অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে পরিবার সদস্যদের জন্য একই অ্যাকাউন্টে আবেদন করুন। স্পন্সরের ভিসা কপি এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট অ্যাটাচ করতে ভুলবেন না।
২. প্রক্রিয়ার নির্দিষ্ট সময় (সকাল ৯টা – বিকাল ৫টা, রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার) মেনে চলুন।
৩. ক্যানড স্ক্যানার বা ভালো মানের ডকুমেন্ট স্ক্যানার ব্যবহার করে সঠিক এবং স্পষ্ট কপি তৈরি করুন।
৪. মিথ্যা বা ভুয়া ডকুমেন্ট জমা দিলে আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে এবং ভবিষ্যতে নিষিদ্ধ হতে পারেন।